News

হাইটেক পার্কের দায়িত্বে বিকর্ণ কুমার ঘোষ

ডেস্ক রিপোর্ট: এবার হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

রোববার (৩০ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ নিয়োগ দেয় সরকার।

জানা যায়, যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে জন্ম বিকর্ণ কুমার ঘোষের। গ্রামেই তার বেড়ে ওঠা। যশোর এম এম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ১৯৯৩ সালে সহকারী কমিশনার হিসেবে খুলনা জেলায় যোগদান করেন বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

এরপর নড়াইল, মাগুরা, নীলফামারী, রাঙামাটি, ময়মনসিংহ, বরগুনা, গাজীপুর জেলায় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। ২০১৬ সালে যুগ্ম-সচিব, ২০১৯ সালে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে এমপিএইচ, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ই-গভর্নমেন্ট লিডারশিপ, সুইডেন থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন আইসিটি, স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের বিশাল দ্বার উন্মোচন

বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের বিশাল দ্বার উন্মোচন

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খলিতাজুরি বিলের মাঝামাঝি গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক। নবনির্মিত হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের বিশাল দ্বার উন্মোচন হয়েছে।

মূল রাস্তার পাশেই লেক। তার উপরে দৃষ্টিনন্দন সেতু। সেতু পেরিয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক সিলেটের প্রশাসনিক ভবন। তার পাশেই ব্যাংক ভবন। দূর থেকে সফটওয়্যার ভবনটিকে মনে হয় একটা টাওয়ার। নাম সেভেন-ডি। প্রশাসনিক ভবনের পূর্ব দিকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করা হবে। থাকবে ডরমিটরিও।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরইমধ্যে প্রকল্পের ৯২ শতাংশ অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ব্যয় হচ্ছে মোট ৩৩৬ কোটি টাকা। আশা করা হচ্ছে মার্চের মধ্যে পুরো নির্মাণকাজই শেষ হবে। নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ, পানির লাইন ও রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ। গ্যাস লাইন বসানোর কাজ চলছে। থাকবে উচ্চগতির ইন্টারনেটও।

৮টি প্রতিষ্ঠানকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি, আরএফল, ব্যাবিলন ইত্যাদি। ৩২ একর জমি বরাদ্দ নিয়েছে সনি। এখানে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি। ২০ একর জায়গা নিয়েছে আরএফল। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে তাদের ভিশন ব্র্যান্ডের ৬৬টি আইটেম তৈরি করবে। আশা করা যাচ্ছে এই প্রকল্পে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

প্রকল্প এলাকায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নির্মাণ করা হবে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থাকবে।

ধূ ধূ বিরানভূমির মাঝে প্রায় ১৬৩ একর জায়গায় তৈরি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক-সিলেট। বর্ষা এলেই পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে থাকে বিলটি। জলজমিনে জেগে থাকে কেবল এই সিটি। ২০ ফুট গভীর বিলের বিশাল অংশ ভরাট করেই তৈরি করা হয় এই পার্ক।

বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এর আগে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হোসনে আরা বেগম।

Leave a Reply